বিষণ্ণ
বাথটাব
উইন্ডচাইম বাতাসের ধারনা বদলে দিচ্ছে
বিকেলের খুব কাছাকাছি
যেখানে মেঘের কারখানা
আকাশের বিস্তৃত করতল জুড়ে অ্যাপোফেনিয়ায় ফুটে উঠছে... ভাঙচুরের বিবরণ
আমি কাকে বলব?
বাথটাবে জিইয়ে রাখা অন্তর্বাস, রঙ ছড়িয়ে
পড়ছে...
মাঝরাত হাওয়ার ঘর... ঘরভর্তি নিমকাঠের
সুবাস... টালমাটাল। শীতার্ত স্তনের পাশে আরও কয়েকটা ভৌগলিক সেলাই।
আরও থতমত ধোঁয়া।আরও আরও অযুত নির্জনতা...
ভ্যানিটি ব্যাগে, চাবির গোছায়, ক্যালেণ্ডারেনভেম্বরেরপাতায়।
আর আমি বসে থাকি জানালা থেকে কিছুটা আঁড়ালে।
বসে থাকার ভিতর রাত নেই, দিন নেই।
নয় বছরের ভাঙচুর আটকে রাখি সেফটিপিনে।
দূরের বিস্তৃত মাঠ জুড়ে ফালি ফালি নিমকাঠ
কে সরিয়ে ফেলছে?
কে সরিয়ে ফেলেছিল?
উত্তরে আকাশ আরও ঘন হয়।
রাফখাতা ভর্তি যে শুক্রবারগুলো শুয়ে আছে,
সেখানে দুপুর নামে, আবহাওয়ায় খুদবার সুর।
একটু পরেই বাবা ফিরবে, হাতে জিলাপি আর খোরমা।
খড়খড়ি জানালায় দ্রুত আঙুল চালিয়ে গেল
কে ওটা?
বিম্ব
বিভ্রম
এরকম বিদ্যুৎহীনতায় জানালার কাছাকাছি আরও
অন্ধকার ভীড় করে দাঁড়ায়।
নাভি উথলে আসে মৃত আত্মীয়ের গন্ধ।
ঘুমন্ত পাখির ঠোঁটের আনাচেকানাচে পড়ে থাকা
বুঝি এ অন্ধকার... বেয়ে এলে কোন সুড়ঙ্গপথে?
সারারাত বালিশের তলে নক্ষত্রপাত।
পানকৌড়ির জলাশয়ে পান্না সবুজরাত নামলে আমি
বিষণ্ণতায় মাস্টারবেইটের কথা ভাবি।
ভাবনার দেয়াল টপকে পড়ে যায় ঠোঁটের কোণে
পানসুপারির ঘ্রাণ।
আর ভাবি, সে বরং সাপ চাষ করুক, তার মাথাভর্তি
সাইকেডেলিক ফার্ম গিজগিজ করুক।
শহরের দালান ডুবে আছে ঘুমের জখমে।
এমন ভোর ভোর সময়, কাছে কোথাও কোরানের আয়াতের
সুরে শোক ঝরছে বতুয়া বনে।
মনে হল, আমার চুল উড়ে যাচ্ছে, হলুদ ফ্রকের পাতারা উড়ে যাচ্ছে
মেজমামার ফিনিক্স সাইকেলের পিছন পিছন...
খানসামা হাটের দিকে।
এইসব কিছু আগেও ঘটে গেছে বোধহয়... ফলত আমি
জানি,
একটুপরেই চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে যে ট্রেনটা
ফিরে আসবে তার গা ভর্তি কসকো সাবানের গন্ধ!
অনেক ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন