শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

।। কবিতা : প্রীতম বসাক ।।





সুধা এসেছিল

সুধা কাউকে ছাড়ে না কেউ কেউ সুধাকে ছেড়ে যায়। সে এখন এসে দাঁড়িয়েছে অমল গুপ্তের শিয়রে অথচ অমলকান্তি ঘুমোচ্ছে তো ঘুমোচ্ছেই এই মুহূর্তে কি করবে সুধা!  তার প্রশ্নপত্রে শেষ রাতের শিউলি, তা-ই অমলেন্দুর পাশবালিশের ক-বিভাগে রেখে ডান দিকের উইংস দিয়ে বেড়িয়ে গেল  তার আগে বলে গেল ডাকঘরের দরজার সামনে সে উত্তর কুড়োনোর জন্য অপেক্ষা করে থাকবে কেউ কেউ আজও অতি কারণে চিঠি লিখে ফেলে কিনা সে সম্পর্কে সুধা একটা থিসিস লিখছে, যা মূলত সুধাময়ের ডায়েরি নামাঙ্কনে কোন এককালে প্রকাশ করা হবেমঞ্চের বাইরে অবনী তখন মেঘ চরাচ্ছে




উটের দীর্ঘ রাত

একটা ট্রেন কুয়াশার অন্তর্নিহিত অর্থে হেঁটে যাচ্ছে যেমন স্বপ্নভূক উঠে আসে ইন্দ্রজালের টিলায় সংবেদনশীল গাছ দেখেছি আমি দেখেছি নদীর নিদারুণ  আলেখ্য কিছু কিংশুক ফুল ঝরে যায় যেহেতু কেউ তার কপালে ফুঁ দিয়ে আচ্ছন্ন ভাঙেনি কৃষকের অদ্ভুত মুঠোয় সুপ্রিয় ফসল রেখে যাবে বলে কেউ চিঠি জুড়ে উটের দীর্ঘরাত পাঠাতে চেয়েছিল কবি তার ঢেউ থেকে তুলে আনে গণ্ডুষপ্রমাণ মাটি দংশনের মন্ত্র থেকে নেমে আসে করুণ বটফল কিছু তিতির সমান আহ্




শূন্যের পর আরও কিছু

সমুদয় যথার্থ খরচ করে ফেলেছি মুঠোয় ধরে রেখেছি ম্যাজিক তোমাকে ঠিক মায়ের মত দেখতে কবিতা কোন হাতখরচের গল্প নয় তার গায়ে পায়ে দাগ হয়ে ফুটে থাকে গাছের বৃদ্ধ পাখির আজান তাকে ছুটিয়ে পাড়া ছাড়া করে এদিকে লাউমাচা থেকে চুঁইয়ে পরে ডাকনামের ঘর ফুলের খুব কাছে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ ব্যাকরণ শেখে কেউ জমা করে খড়কুটো শীত চলে এলে হুড়মুড়িয়ে গলাব্যথা আসে স্নানের প্রয়োজনে ঠোঁটের জল মৃত্তিকা ভাঙে তোমাকে আয়ত্ত করার জন্য আমি সব জমানো বিদ্যা খুলে আসি ভুলখানে শূন্য থেকে শুরু করি অন্তর্ঘাত




একটি ভিতু লোকের কবিতা

একটা উলের গুটি সারাদুপুর হেঁটে গিয়েছে জলস্তম্ভের দিকে আর পাহাড়ের ডগায় তুমি ঢেলেছো অপচয় মামুলি কিছু রূপকথা কিছু নোয়া বাঁধানো আচারের শিশি বিছানার কার্নিশ থেকে ঝুলে পড়ছে আপামর কামনার তুঁতগাছ চলো আমাদের শিশুদের ঘুম থেকে কিছু মগ্নচৈতন্য ছু করে আনি কিছু সাহস পাচার করি মা উনোনে কত আলু ফেলে দিতেন তার পোড়াগন্ধ থেকে আমাদের টিফিনের রোদ তুলে আনিস্কুল ফেরতের ভিতর চলো, আমি এবং তুমি, বেলুনের চমৎকার ভরেনি উৎসব ফেটে বৃষ্টি নামুক



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন