শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

।। কবিতা : নকিব মুকশি ।।






হেজিমনিক পোয়েট্রি

শত পদ—দুরন্ত নিঝুম...
ভান-কবি—জবাগাছ নীরস
কারাছায়া—বাবাহীন সন্ধ্যা
শাদা ভুল—কফিনের যাত্রা
মেধাধার—বিভাজন শ্রেণির
গন্ধম—প্রসূতির সৃজন

এই টান—দূরত্বসমান...
পড়াশোনা—রেন্দার ব্লেড...
এই ফুল—কল্পনা ম্যাজিক...
কাঁচা সোনা—বাসরের ক্লিক...
মৃত নদী—বয়স্ক বৃক্ষ...
এই জ্বর—লক্ষণ কবির...

জামবন—ওষ্ঠের ব্যায়াম...
মৃত মীন—লক্ষণ সাঁঝের...
এই শির—হেজিমনি-আবেশ...
কবিমন—মৃত্তিকা রঙিন...
এই শীষ—পতনের মিনার...

*
রাজনীতি—তড়িতের প্রবাহ...
গাছ-শাখা—মূলেদের প্রকাশ...

*
শাশ্বত রিউমার ছড়ানো সন্ধ্যা পার হওয়ার পর—রাষ্ট্র চিনে—মহান দার্শনিক সক্রেটিস...
এক গানওয়ালা—হ্যামিলনের বাঁশি...সতত ফানুস ওড়ে, গায়, ফোটে কণ্ঠে—পৃথুল রঙধনু...



*
ফলখাদক—প্রেম চিনে না
মমিন—কবিতা বুঝে না
নদী—মাছ বেচে না
আর তুমি—আমায় খোঁজ না
পিল—মীন জানে না...

*
শ্রী হারানোর পর শুধুই পাই—খাঁটি মৃৎ ও তুমিটুকু....
এইসব বেলেফুল—আধুনিক ভান সংসার...
এবং দোকানদার জানে—কী চায় তোমাদের অন্দরমহল...?

*
সমস্ত প্রকাশ—মূলত কাফেলার ঘনত্বে হারাতে চায়...

*
টিভি মাঠ—বিচিত্র ঘাসের খেত...
ভূস্বামী—শির ও শিরের চেম্বার...

শতপদ্ম—ফুটে থাকা পারাবার...
জিরাফ—নিরব জলাশয়—টুপ করে থাকা পৃথুল আকাশ...

*
তড়িৎ প্রবাহ ধাবিত—সেদিকে জীবনের স্তূপ...
রক্তপ্রবাহ ধাবিত—যেদিকে বন্ধ হবে বলে
একটি ঘড়ি টিক টিক করছে...

লাশ—জীবনকে দেওয়া জীবনের উপহার—প্রতিশোধের ফল...

*
মাল্টার রঙ নিয়ে
আরেকটি ডিম ঘুরছে কোথাও!
দেখছি—

ভাবছি—কেমন তার সৌরসেক্স?
কোন প্যারাডক্স ও প্যারাফিনে
সেইসব রুহ—আবর্তিত...?

দেখো, এই সব
সেক্স ওয়ার্কারস্—মূলত গোল গোল আলু...
—খাঁটি অসাম্প্রদায়িক ও জাতঘৃণার উপরে
—জমিতে সেচ দিয়ে সিক্ত রাখাই কর্মশালা...

*
আম্মার ডাক থেকে উৎসারিত সতত ব্যাকুলতা—এক ধরণের বড়শিগিলা মাছের ছটফটানি—অতি ধীরে ফলার নমুনায় ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের বোঁটা...




অর্ধচাঁদের মীনাক্ষী

বন্ধু মহসীন উকিল, তোর জন্য এ সুর...

হরিণের ছালে গুহার ম্যামথ...
কাঁপছে দূরের পুরান ময়ূর—
ফুলের ভিদায় নামছে গাড়ল...
অন্ধপাশার সান্ধ্য ঘুঙুর—

বিমানবালায় কাঁপছে জড়ুল...
তামাম ছায়ায় তারার আলাপ—
পতঞ্জলির ভানের বাথান...
নাট্য ভাষায় সুরের মেকাপ—

নরেশ-কণ্ঠে ফুলের কেরাত
অর্ধচাঁদের মীনাক্ষী-মথ...
দেদার সাপের তুমুল শ্বাসে
নামছে তখন বেজির শপথ...

কোথায় তামার শিলার তুলট
সারস-বনের কণ্ঠ-সীমার?
কোথায় কোঁড়ল, পাখির হৃদয়
কাঁপছে সেতার ধূসর সামার?

শারদ আকাশ গীত-কাঞ্চন—
ফোটে কি সতত বিভার মুকুর?
সুগোল আয়ুর মুখের রেখায়
পুরান ধুলার জিরাফ-ঘুঙুর...?

স্যাডিজম ঘিরে যেন সৌরারশ
পেতেছে রেণুর মেধা-সারবান—
কাঁপে চুরটের শীত-ধোঁয়ামুখ...
তবে কি মৃতের চোখে কাপ্তান?


বাতাসে তারায় কার পত্র ওড়ে
ধূলিতে ধূসর মীন-অস্থির...?
ছুঁয়েছে আত্মা টেররিস্টের
আন্দামানের সেলে কার শির?

জানে কি পাখিরা পাসপোর্ট কী—
কী-বা মালিকানা, দানের বাক্স?
বাগানের পাশে সেলুলার বন—
ফলের ছায়ায় কাদের ভাষ্য...?
 

আত্মায় ওড়ে পৃথিবীর হাওয়া...
ফাঁসির গন্ধে সে আবু গারিব—
বনের নিশ্বাস হাঁপাচ্ছে দ্বীপে
জল্লাদে কাঁপে থির মাগরিব—

ফেনায় ফুটছে মিনার-সৌরভ
ফলের নষ্টে কূট-রাজ-রাত...
পুরান চিঠির হাওয়া আসে না—
আসে না সতত বিবির প্রভাত...

আত্মায় ওড়ে পিরিতির রিপু
হৃদয়ে জমছে মবিলের পোড়া—
তূণে বসে আছে আঁধারের শির...
কস্তুরী-ফল ছিঁড়ছে মীনেরা—

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন